সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার প্রাচীনতম শাখা, এর ক্ষেত্র হল বিভিন্ন কাঠামোর নকশা এবং নির্মান করা, সেগুলি হতে পারে বিল্ডিং, রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর, সেতু, পানি সরবরাহ, নিস্কাশন ব্যবস্থা, বাধ, পোতাশ্রয়, রেলপথ, ফেরিঘাট, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, এমনকি হতে পারে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট।
সিভিল টেকনোলজি বিভাগটি বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এই বিভাগটি এসএসসি পাশ করার পর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বিটিইবি) অধীনে ৪ বছরের ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম অফার করে।
প্রতি বছর ১০০ জন ছাত্র ছাত্রী, (প্রথম শিফট এর জন্য ৫০ এবং দ্বিতীয় শিফটের জন্য ৫০ জন) ছাত্র ছাত্রী এই বিভাগে ভর্তি হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, ছাত্রীদের জন্য ২০%, কারিগরির শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫% এবং প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫% আসন সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে উপজাতীয়দের জন্য ২টি এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতনিদের জন্য ২টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
একজন ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ার সিভিল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন।
একজন সিভিল ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটের প্রধান চাকরির ক্ষেত্র হল সড়ক ও মহাসড়ক, গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, সকল সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সার্ভে, জনস্বাস্থ্য, ওয়াসা, বিপিডিবি, রাজউক এবং অন্যান্য বিভাগ।
প্রধান পাঠ্য বিষয়সমূহঃ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ড্রইং, এস্টিমেটিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস্ এন্ড ম্যাটেরিয়াল টেস্টিং, সয়েল মেকানিক্স, স্ট্রাকচারাল মেকানিক্স, থিওরী এন্ড ডিজাইন অব স্ট্রাকচার, হাইড্রলিক্স, হাইওয়েজ এন্ড রেলওয়েজ, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কনস্ট্রাকশন প্রসেস, সার্ভেয়িং ইত্যাদি। সমৃদ্ধ জীবন গঠনের জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
সিভিল টেকনোলজির শপ ও ল্যাব সমূহ:
১। কনস্ট্রাকশন শপ
২। প্লাম্বিং, শপ
৩। ম্যাটেরিয়াল টেস্টিং ল্যাব
৪। সয়েল মেকানিক্স ল্যাব
৫। সার্ভে শপ
৬। উড্ শপ
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS